ভালুকায় এগ্রো ফার্মের উৎপাদন শুরু
যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে কেটিএস ডেভেলপমেন্ট লি.
সামাজিক ব্যবসার চমৎকার দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে যাচ্ছে কেটিএস ডেভেলপমেন্ট লি.। Change of life বা জীবন পরিবর্তনের শ্লোগান নিয়ে চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাস থেকে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ শুরু করেছে KTS Development Limited।
ময়মনসিংহের ভালুকায় এগ্রো ফার্মের উৎপাদন কার্যক্রমের মধ্যে দিয়ে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করল কোম্পানিটি। গত শনিবার (৯ মার্চ) কেটিএস ডেভেলপমেন্ট লি. এর পরিচালক ও কর্মকর্তাবৃন্দরা কেটিএস এগ্রো ফার্ম পরিদর্শন করেন।
এ সময় কেটিএস ডেভেলপমেন্ট লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনিসুজ্জামান মোল্ল্যা, পরিচালকদের মধ্যে ইসমত আরা জেসমিন, শেখ মাহমুদ এ রিয়াত, প্রফেসর শাহনেওয়াজ চৌধুরী, নাজমুল হক জুয়েল, ইলিয়াস হোসেন রাজু, শামীমুল ইসলাম সুমন, আলী হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় ব্যবস্থা পরিচালক আনিসুজ্জামান মোল্যা দ্যা বিজনেস টুডে’কে বলেন, কেটিএস এগ্রো ফার্মে উৎপাদনের লক্ষ্য আজকে পরিচালকদের নিয়ে আমরা এখানে এসেছি। তিনি জানান, বর্তমান এই প্রকল্পের পোল্ট্র্রি ফার্মে ৬ হাজার মুরগী এবং ৩ হাজার পেঁপে গাছ রয়েছে। শিগগিরই কেটিএস এগ্রো ফার্মকে ঢেলে সাজানো হবে। উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্য পুকুরগুলোকে আধুনিকায়ন করে ফিশারিজের উৎপাদন শুরু হবে। ডেইরি ফার্মের সাথে মহিষ ও হাঁস পালন করা হবে। সবজি চাষ ও গাছের চারা রোপনও চলছে। জৈবসার উৎপাদনসহ নান্দনিক এই এগ্রো ফার্মে একাধিক প্রকল্পের চিত্র আগামী ১ মাসের মধ্যে দৃশ্যমান হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন কেটিএস ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কেটিএস এগ্রো ফার্ম প্রকৃতির চাঁদর দিয়ে ঘেরা। চারিদিকে সবুজ আর প্রকৃতি নিঃসন্দেহে কেটিএস শেয়ার সদস্যদের বিমোহিত করবে। প্রকৃতির একান্ত সান্নিধ্যে এসে এই সবুজের সমারোহ আর মন ভুলানো পাখির কলকাকলী প্রকৃতিপ্রেমী মানুষকে করবে বিমোহিত।
কেটিএস এগ্রো প্রকল্পের ডিডিও লিংক...এখানে ক্লিক করুন
এই প্রকল্প পরিদর্শন করার পাশাপাশি কেটিএস শেয়ার সদস্যরা ভালুকার অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন। ময়মনসিংহের দরজা প্রকৃতির নগরী ভালুকায় ঢাকা থেকে দু ঘণ্টায় পৌঁছনো যায়। সেখানে আছে মল্লিক বাড়ি সেতু, কিছু দূর গেলেই মল্লিক বাড়ির বিখ্যাত মালাই চা-এর দোকান। যাওয়া যেতে পারে ভালুকা ইউনিয়নের চির সবুজ মেদিলা ও ধলিয়া গ্রামে। এখানে গ্রামবাংলার সৌন্দর্য উপভোগ করা যাবে। নির্জনতা পছন্দ হলে উথুরায় যান, সেখানে গিয়ে অনুমতি সাপেক্ষে কুমির খামার, মাল্টার বাগান, ড্রাগন ফলের বাগান দেখা যায়। এই দুটি বিদেশি ফল কিভাবে ভালুকায় উৎপাদিত হচ্ছে তা চোখে পড়বে। অরণ্য প্রেমিরা যেতে পারেন কাদিগর জাতীয় উদ্যানে। এই নির্জন উদ্যানে মুখপোড়া বানর, রেসাস বানর, কয়েক প্রজাতির সাপ, দেশি ও বিদেশি পাখি দেখা যাবে। দেখা যাবে কোচ উপজাতিদের সংগ্রামী জীবন।
যেতে পারেন দেশের প্রথম সৌদি খেজুর বাগান, পারাগাঁও গ্রামে। শত শত দর্শনার্থী এই খেজুর বাগান দেখতে যান। দেখে আসতে পারেন খিরু নদী। এই খিরু নদীকে নিয়ে চলচ্চিত্রের গান যেমন চিত্রায়িত হয়েছে, তেমনি কবিরা কবিতায় খিরু নদীকে নিয়ে এসেছেন। যদিও নদী অনাব্য হয়ে পড়েছে। নৌকা ভ্রমণ করতে পারেন হারলা বিলে। এই হারলা বিলে কয়েক রঙের শাপলা ফুল ফোটে।
ভালুকার রমণীরা পিঠা তৈরি করতে যথেষ্ট পারদর্শী। ভালুকার শীতের পিঠার সুনাম দেশব্যাপী। আগামী শীতে কেটিএস এগ্রো ফার্ম পরিদর্শনের পাশাপাশি সফরসূচিতে ভালুকাকে রাখতে পারেন।
কেটিএস ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরও বলেন, কেটিএস এগ্রো ফার্ম থেকে কিছু দুরে কেটিএস মিট প্রসেসিং কারখানা স্থাপিত হতে যাচ্ছে। কেটিএস এর নিজস্ব এই জমিতে উৎপাদন হবে মানুষের ছোঁয়া ছাড়া পশুর মাংস।
আনিস জানান, দক্ষিন কোরিয়া থেকে শিগগিরই মাংস প্রসেসিং এর মেশিন আসবে। শিগগিরই উৎপাদনে যাচ্ছে কেটিএস মিট প্রসেসিং।
জানা গেছে, পশু জবাই থেকে শুরু করে হাড়/মাংস আলাদা করাসহ যাবতীয় প্রক্রিয়া এই অটোমেটিক মেশিনের মাধ্যমে হবে।
এই প্রক্রিয়াজাত মাংস দক্ষিন কোরিয়াসহ বিভিন্ন দেশে রফতানি হবে। স্থানীয় বাজারেও এই মাংস সরবারহ করা হবে বলে জানান কেটিএস ডেভেলপমেন্ট এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনিসুজ্জামান মোল্যা।
কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, দেশে এই প্রথম কোম্পানির শেয়ার সদস্য গ্রহন সাপেক্ষে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিচ্ছে KTS (Key to Success)| এই সুযোগটি পাচ্ছেন শুধুমাত্র কর্মসংস্থানে আগ্রহী KTS শেয়ার সদস্যরা।
KTS Development Limited সমন্বিত বিনিয়োগ ও ভাবনা-আদান প্রদানের সৃষ্টি করে বিশাল এই কর্মযজ্ঞ পরিচালিত করছে। KTS প্লাটফর্মে কোম্পানির শেয়ার মালিকানার সাথে কোম্পানির সকল সুবিধাও পাবেন একজন শেয়ার সদস্য।
সংশ্লিষ্টরা জানান, কোম্পানির শেয়ার মালিকানা দেওয়ার পাশাপাশি কোম্পানিকে চাকুরী ও ব্যবসা (উদ্যোক্তা) দেওয়ার সুযোগ নিঃসন্দেহে বিশ্বের বুকে দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।
জানাগেছে, আগামী ৩ বছরে ১২ হাজার কর্মহীন মানুষের জন্য কেটিএস সদস্য শেয়ার সংরক্ষিত রেখেছে কোম্পানি। প্রতিবছর ৪ হাজার করে শেয়ার সদস্য নেওয়া হবে এবং সদস্যদের চাহিদানুষায়ী চাকুরী/উদ্যেক্তা হিসেবে কর্মসংস্থানের সহায়তা করবে কেটিএস।
শেয়ার সদস্য নিচ্ছে কেটিএসঃ
কোম্পানি সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে শেয়ার সদস্য ফরম ছাড়া হয়েছে। শতাধিক তরুন-তরুনী কেটিএস শেয়ার সদস্য হয়েছেন এবং প্রতিনিয়ত মানুষ এই উদ্যোগে সাড়া দিচ্ছেন। তবে এই সুযোগ সীমিত! চলতি বছর ৪ হাজারের বেশি শেয়ার সদস্য গ্রহন করা হবে না।
কেটিএস এগ্রো ফার্ম পরিদর্শনের সময় দক্ষিন কোরিয়ায় সফররত কেটিএস ডেভেলপমেন্ট লি. এর চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক হিরু ডিডিওর মাধ্যমে উপস্থিত পরিচালকদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এ সময় দক্ষিন কোরিয়ার কেটিএস ব্যবসায়িক পার্টনারগন শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
চেয়ারম্যান জানান, দাক্ষিন কোরিয়ার সাথে কেটিএস এর অনেকগুলো প্রকল্পে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।চলমান বিভিন্ন প্রকল্পে শত শত মানুষের কর্মসংস্থান হবে ইনশাআল্লাহ। এখান থেকে শত শত উদ্যোক্তার জন্য সাপোর্টও তৈরি হবে। কেটিএস এর পলিসি মোতাবেক শুধুমাত্র কেটিএস শেয়ার সদস্যরা এই সুযোগ পাবেন।
কেটিএস শেয়ার সদস্য হয়ে এই সকল সুযোগ-সুবিধা গ্রহন করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান তিনি।
যেভাবে এগিয়ে চলছে কেটিএস (KTS) কার্যক্রম/কারা সুযোগ পাবেনঃ
উপরে উল্লেখিত কেটিএস এগ্রো ফার্ম এবং কেটিএস মিট প্রসেসিং ছাড়াও KTS এর চলমান কর্মসূচির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে-
KTS জৈব সার কারখানাঃ
পাবনার ঈশ্বরদীতে গড়ে তোলা হচ্ছে KTS জৈব সার কারখানা।
KTS (এফআরপি) FRP® fiberglass reinforced plastic
এর অর্থ হল ফাইবার গ্লাস রিইনফোর্সড প্লাস্টিক (fiberglass reinforced plastic)। FRP প্রথমত ফাইবার, যথা গ্লাস ফাইবার এবং দ্বিতীয়ত গ্লাস ফাইবারকে ঘিরে একটি প্লাস্টিক ম্যাট্রিক্স নিয়ে গঠিত। এই ম্যাট্রিক্স থার্মোসেট বা থার্মোপ্লাস্টিক উপাদান নিয়ে গঠিত।
ফেনীতে ২১ বিঘা জমির উপর KTS এই FRP ফ্যাক্টরী স্থাপনের কাজ শুরু করেছে। এর সকল পণ্য হবে ১০০ বছরের গ্যারান্টি যুক্ত। এই প্রযুক্তিতে উৎপাদিত পণ্য আগুনে পুড়বে না, ভাঙবে না এবং কখনো রং নষ্ট হবে না।
বাংলাদেশে প্রথম কেটিএস এফআরপি প্রযুক্তিতে উৎপাদন করতে যাচ্ছে-
রিক্সার বডি, পাইপ, টেবিল, চেয়ার, আলমারি, শোকেচ, বিভিন্ন ধরনের ফার্নিচার, সোফা, ঢেউটিন, পানির ট্যাংক ইত্যাদি।
একজন কর্মহীন মানুষ কেটিএস শেয়ার সদস্য ফরম পূরণ করে উদ্যোক্তা হিসেবে দেশব্যাপী এজেন্ট/ডিলার হতে পারেন অথবা চাকুরীর জন্য আবেদন করতে পারেন।
KTS স্মার্ট রিকশা
দক্ষিন কোরিয়ার কারিগরী সহযোগীতায় এই কোম্পানি অত্যানুধিক প্রযুক্তিতে শৈল্পিক ও নান্দনিক ডিজাইনের KTS স্মার্ট রিকশা বাংলাদেশে চালু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। KTS এর এই স্মার্ট রিকশা প্যাডেল চালিত কিন্ত সাধারন রিকশার চেয়ে ৩ গুনে বেশি দ্রুত গতিতে চলে বিধায় চালকগণ কম শক্তিতে, কম সময়ে অনেক বেশি পথ চালিয়ে বেশি আয় করতে পারবে।
যারা সুযোগ পাবেন: ভাড়ার টাকায় কিস্তি দিয়ে KTS স্মার্ট রিকশার মালিকানার সুযোগ দিচ্ছে কোম্পানি। KTS শেয়ার সদস্যরা KTS স্মার্ট রিকশা প্রকল্পে উদ্যোক্তা/ব্যবসায়িক সুবিধা এবং চাকুরি পাবেন।
# এই রিকশা যারা নিবেন, তারা দ্রুত কেটিএস শেয়ার সদস্য হয়ে আবেদন করুন। শিগগিরই বাজারে এই রিকশার বানিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হবে।
KTS স্মার্ট প্রাইভেট কার/ট্যাক্সি ক্যাব/বাস
জাপান থেকে আমদানিকৃত এসকল গাড়ী আকর্ষণীয় কিস্তিতে পরিশোধযোগ্য এবং প্রচলিত বাজারের চেয়ে কমপক্ষে দুই লাখ টাকা কম মূল্য কেটিএস এ সকল গাড়ি তার শেয়ার সদস্যদের মালিকানার সুযোগ দিচ্ছে কোম্পানি।
যারা সুযোগ পাবেন: ভাড়ার টাকায় কিস্তি দিয়ে KTS স্মার্ট প্রাইভেট কার/ট্যাক্সি KTS শেয়ার সদস্যরা এই উদ্যোক্তা/ব্যবসায়িক সুবিধা এবং চাকুরি পাবেন।
কেটিএস শেয়ার সদস্য ফরম পূরণ করে আবেদন করুন। এবার সত্যি হবে আপনার স্বপ্ন!
এছাড়াও দক্ষিন কোরিয়া ও বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে দক্ষিন কোরিয়ার কসমেটিকস, ফুড এ্যান্ড বেভারেজ কারখানা স্থাপিত হতে যাচ্ছে। স্থাপিত হচ্ছে কেটিএস সোলার পাও্য়ার প্লান্ট এবং কেটিএস গোল্ড রিফাইডিং কারখানা।
দক্ষিন কোরিয়ার কারিগরি সহযোগিতায় বাংলাদেশ এবং বিশ্বে এই প্রথম জ্বালানি বিহীন জেনারেটর মার্কেটে নিয়ে আসছে KTS Development Limited।
কেটিএস ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনিসুজ্জামান মোল্ল্যা জানান, কেটিএস ১০০ প্রকল্পের পরিকল্পনা কর্মসূচি প্রনয়ণ করেছে। এর মধ্যে উল্লেখিত প্রকল্পগুলো কয়েকটি উৎপাদনে গিয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য প্রকল্পগুলোও উৎপাদনে যাবে ইনশাআল্লাহ। কর্মযজ্ঞের এই বিশাল রোড ম্যাপে কর্মহীন মানুষদের কেটিএস প্ল্যাটফর্মে যুক্ত করতে আহবান জানান তিনি।
আনিস বলেন, কেটিএস এর সকল প্রকল্পে শেয়ার সদস্য হিসেবে তালিকাভুক্ত সদস্যরাই কেবল কেটিএস সকল প্রকল্পে উদ্যোক্তা অথবা চাকরির সুযোগ পাবেন।
আপনি যে সকল কারণে কেটিএস এর শেয়ার সদস্য হবেন?
কর্মসংস্থান (উদ্যোক্ত/চাকুরি) #
কেটিএস কর্মহীন মানুষের উদ্যোক্তা তৈরি এবং চাকুরী দিয়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিচ্ছে।
কর্মসংস্থানের সুযোগ পেতে হলে প্রথমে KTS এর শেয়ার সদস্যপদ গ্রহন করতে হবে। কোম্পানির শেয়ার নিশ্চিত হলেই ক্রমানুসারে উদ্যোক্তা বা কর্মসংস্থানের (শেয়ার সদস্যদের চাহিদা ও যোগ্যতা অনুষায়ী) ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এখানে শেয়ার সদস্যরাই কেবল কোম্পানি প্রদত্ত কর্মসংস্থান সুবিধা পাবেন।
কোম্পানির শেয়ার সদস্য হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে কর্মসংস্থান নিশ্চিত করবে KTS -এর দায়িত্বপ্রাপ্ত ইউনিট।
প্রথম সুবিধা:
কেটিএস শেয়ার সদস্যগন কোম্পানির গর্বিত মালিক হবেন। প্রতিবছর এজিএম এর মাধ্যমে বাৎসরিক চূড়ান্ত হিসেবে প্রতি শেয়ারের বিপরীতে কোম্পানির লভ্যাংশ পাবেন। শেয়ার সদস্যগন চাইলে যে কোন সময় শেয়ার বিক্রি অথবা হস্তান্তর করতে পারবেন।
দ্বিতীয় সুবিধা:
KTS শেয়ার সদস্য যদি উদ্যোক্তা হিসেবে ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট করতে আগ্রহী হন তবে কোম্পানি ওই সদস্যকে সার্বিক সহযোগিতা করবে।
এটা দুই ভাবে হতে পারে-
১. কেটিএস ডেভেলপমেন্ট কোম্পানির সকল প্রকল্পে আপনি উদ্যোক্তা হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে পারেন। যেমন: কেটিএস উৎপাদিত জৈব সার, কেটিএস এগ্রো ফার্মের উৎপাদিত সকল পণ্য, কেটিএস এফআরপি উৎপাদিত সকল পণ্য, কমমেটিকস, ফুড এন্ড বেভারেজ, জেনারেটর, রিকশা ও গাড়ী ইত্যাদি পণ্য নিয়ে আপনি ডিলার/এজেন্টশীপ নিয়ে উদ্যোক্তা হিসাবে ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
প্রসঙ্গত: কেটিএস দেশব্যাপী সুপারশপ চালু করার পরিকল্পনা করেছে। এসব সুপারশপে শুধুমাত্র কেটিএস এর পণ্য বিক্রি হবে। এখানেও একজন কেটিএস শেয়ার সদস্য আজীবনের জন্য উদ্যোক্তা হয়ে কাজ পাবেন, পেতে পারেন চাকুরীও।
২. উপরের এই সুযোগ ছাড়াও একজন কেটিএস শেয়ার সদস্য তার নিজস্ব ব্যবসায়িক ভাবনা কোম্পানিকে শেয়ার করতে পারেন। শেয়ার সদস্যদের ভাবনার সাথে কোম্পানির ভাবনার মিল হলেই প্রকল্পের মানদন্ড অনুষায়ী ওই সদস্যকে বিনিয়োগে সহযোগিতা করে উদ্যোক্তা তৈরি করবে কোম্পানি। তবে বিনিয়োগ অবশ্যই নিরাপদ হতে হবে।
তৃতীয় সুবিধা:
KTS এর একজন শেয়ার সদস্য যদি চাকুরী করতে আগ্রহী হন, তবে কোম্পানি তাকে চাকুরীর ব্যবস্থা করে দেবে। কেটিএস শেয়ার সদস্য ফরম পূরণ করে চাকুরীর জন্য আবেদন করতে হবে।
# প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ দিয়ে দেশ ও দেশের বাইরে কাজের সহয়তা করবে কেটিএস।
কেটিএস অনেক বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্য কাজ করছে। তবে এখানে শেয়ার সীমিত। যারা আগে শেয়ার সদস্য হিসেবে তালিকাভূক্ত হবেন, পর্যায়ক্রমে তারা সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
কেটিএসের শেয়ার সদস্য হতে যোগাযোগ করতে পারেন-
কেটিএস ডেভেলপমেন্ট লি., কাজী টাওয়ার, ফ্লাট নম্বর: ৬/বি. ক-৫৭/১ কুড়িল চৌরাস্তা, ঢাকা-১২২৯, কোম্পানির ওয়েবসাইট: ktslimited.net, কোম্পানির ইমেইল: ktsltd2024@gmail.com
বিস্তারিত জানতে এবং শেয়ার সদস্যপদ গ্রহনে যোগাযোগ করতে পারেন 01534830450 এই ওয়ার্টঅ্যাপ নম্বরে। আপনার পরিচয় দিয়ে শুধুমাত্র মেসেজ/এসএমএস করলে যোগাযোগ করা হবে।
KTS মিডিয়া পার্টনার দেশের অন্যতম বিজনেস স্পেশালাইজড নিউজ পোর্টাল দ্যা বিজনেস টুডে।
www.tbtnews.net, www.thebusinesstoday.news