ভাসানচরে দগ্ধ পাঁচ শিশুর কেউ বাঁচল না

টিবিটি ডেস্ক
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১১:৩৯ পিএম

নোয়াখালীর ভাসানচরের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ রুশমিনা নামে ৩ বছর বয়সী আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। 

বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি মারা যায়। 

এ নিয়ে বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত পাঁচ শিশুর মধ্যে কেউ বেঁচে রইল না। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চমেক হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান। 

তিনি বলেন, সবশেষ মারা যাওয়ার রোহিঙ্গা শিশু রুশমিনার শ্বাসনালি ও শরীরের ৫০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। দুর্ঘটনায় আহত মোট ৭ জনকে চমেক হাসপাতালে আনা হয়েছিল। এর মধ্যে ৫ জন শিশু ছিল। তাদের সবাই মারা গেছে।

পুলিশ জানায়, ভাসানচরের আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা রোহিঙ্গারা বিভিন্ন এনজিওর সরবরাহ করা সিলিন্ডারের গ্যাসে রান্নার কাজ করেন। আশ্রয়ণ প্রকল্প ৩ এর ৮১ নম্বর ক্লাস্টারের বাসিন্দা সফি আলম গত শনিবার তার খালি সিলিন্ডার জমা দেওয়ার আগে বারান্দায় বসে মুখ খুলে দেখছিলেন। তখন সিলিন্ডারের নিচে জমা গ্যাস বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে।

সফির প্রতিবেশীর ঘরে তখন রান্না চলছিল। ফলে বাতাসে ছড়িয়ে পড়া গ্যাসে আগুন ধরে যায়। তাতে ৫ শিশু, দুজন নারী এবং দুজন পুরুষ দগ্ধ হন।

তাদের মধ্যে সাতজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হলে রাসেল নামের তিন বছর বয়সী একটি শিশুকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

বাকিদের মধ্যে সাড়ে ৩ বছর বয়সী মোবাশ্বেরা সোমবার সকালে এবং ৫ বছর বয়সী রুবি আলম সেদিন বিকালে মারা যায়।

এরপর সোহেল নামের সাড়ে পাঁচ বছর বয়সী এক শিশু বুধবার সকালে হাসপাতালের শিশু আইসিইউতে মারা যায়। গভীর রাতে মারা যায় রুশমিনা।

যে দুজন এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, তাদের মধ্যে আমেনা খাতুনের (২৬) শরীরের ৮ শতাংশ এবং জুবাইদার (২৫) শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।