তিন কোচের তিন অ্যাটেন্ডেন্ট তাদের ভূমিকা কী ছিল?
ট্রেন বিমানবন্দর ছাড়ার পর আগুন লাগানো হয়েছে। থেমেছে তেজগাঁও স্টেশনে। স্বাভাবিক গতিতে ১৫ মিনিটের পথ। তিনটি কোচের ভিতরের সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
১৫ মিনিটের মধ্যে এক কোচ থেকে তিন কোচে আগুন ছড়িয়ে পড়ার কথা নয়। সম্ভবত তিনটি কোচে একসাথে আগুন ধরানো হয়েছিল।
ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন বা মাঝপথে ট্রেন থামানো হয়নি কেন? তিন কোচের তিন অ্যাটেন্ডেন্ট কোথায় ছিলেন বা তাদের ভূমিকা কী ছিল?
ট্রেন দ্রুত থামানোর জন্য প্রতিটি কোচের একদিকে বাইরের দরজার পাশেই একটি কাঁচের বক্সের ভিতর লাল রঙ্গের একটি ভাল্ব বা চাবি আছে। যেটি রেলের স্টাফ বা অ্যাটেন্ডেন্টদের ব্যবহার করার কথা।
কাঁচের ডালা খুলে ভাল্বের মাথার মুখটা টান দিয়ে খুলে দিলেই ট্রেন থেমে যাবে। অ্যাটেন্ডেন্টরা এটার ব্যবহার করেননি কেন? কোনো যাত্রী শিকল টেনে ট্রেন থামায়নি কেন?
আমি যতটুকু জানি, লাল সবুজ ইন্দোনেশিয়ান পিটি ইনকা কোচের শিকল কোনো কাজ করে না। নিজেই সেটা দেখেছি।
মোহনগঞ্জ ট্রেনের লাল সবুজ কোচ কোথাকার ছিল জানি না। কোরিয়ান এবং চাইনিজ এমজি কোচের শিকল কাজ করে কিনা জানি না। পরীক্ষা প্রার্থনীয়। রেল সেটা জানে, কিন্তু আজ পর্যন্ত পিটি ইনকা কোচের এই ত্রুটি ঠিক করেনি সম্ভবত।
কাজেই বিপদে পড়লে শিকল কাজ করবে না, সেটা মনে রাখবেন সবাই। দরজার পাশের ওই ভাল্ব টেনে খুলে ফেলবেন।
বিমানবন্দর স্টেশনে দুই প্ল্যাটফর্মেই সিসি ক্যামেরা আছে। ওই ট্রেনে বিমানবন্দর থেকে কারা কোন কোচে উঠেছে, সেটা বের করা অসম্ভব নয়।
এই ট্রেনে জিআরপি ও আনসার সদস্য প্রায় ৬-৭ জন ডিউটিরত ছিলেন। দেখা দরকার তাদের ভূমিকা কী ছিল।
জানি না সামনে আরও কী আসছে। আল্লাহপাক আমাদের রক্ষা করুন।
(অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর মিলনের ফেসবুক স্ট্যাটাস)