তীব্র ক্ষুধা ও অপুষ্টিতে ভুগছে গাজার হাজার হাজার বাসিন্দা: জাতিসংঘ
তীব্র ক্ষুধা এবং অপুষ্টিতে ভুগছে গাজার হাজার হাজার বাসিন্দা। উপত্যকাটির উত্তরাঞ্চলে জাতিসংঘের খাদ্য সংস্থার ত্রাণ বিতরণে ইসরায়েলি বাধার পর এমন উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের কর্মকর্তা ডেনিস ফ্রান্সিস। গতকাল বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) মাইক্রো ব্লগিং প্লাটফর্ম এক্সের এক বার্তায় এমন মন্তব্য করেন তিনি। খবর আনাদোলু এজেন্সি।
এছাড়া উপত্যকাটিতে অবিলম্বে মানবিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের ওই কর্মকর্তা। তিনি বলেছেন, আমি অবিলম্বে গাজায় মানবিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করছি। সেখানে নিষ্পাপ শিশু এবং নারী জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছে ।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি গাজার উত্তরাঞ্চলে বিশ্ব খাদ্য সংস্থার (ডব্লিউএফপি) খাদ্য বিতরণ কর্মসূচিতে বাধা দেয় ইসরায়েল। ফলে পুনরায় অনুমতি না মিললে সেখানে খাদ্য সরবরাহ করতে পারছে না সংস্থাটি। এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানিয়েছে, তারা পুরো গাজায় খাদ্য সরবরাহ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ওই অঞ্চলের প্রতিটি মানুষের জন্য খাদ্য নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘন্টায় রাফাসহ গাজার বিভিন্ন স্থানে তেল আবিবের হামলায় ৯৭ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। এত মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৪১০ জনে। এছাড়া গত বছরের ৭ অক্টোবরের পর থেকে এ পর্যন্ত আহত হয়েছেন ৬৯ হাজার ৪৬৫ জন। এখনো বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে, ইসরায়েলি অবরোধের কারণে উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হচ্ছে।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলের আকাশ ও স্থল হামলায় বাস্তুচ্যুত হয়েছে প্রায় ৮৫ শতাংশ বাসিন্দা। এছাড়া এদের বেশির ভাগই প্রতিদিন খাবার পানি এবং খাদ্যের তীব্র সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে। অন্যদিকে তেল আবিবের অবরোধে বিদ্যুৎ, জ্বালানি এবং চিকিৎসা সরঞ্জামের তীব্র সংকটে পড়েছে গাজার হাসপাতালগুলো। গতকাল নাসের হাসপাতালের চিকিৎসকের বরাতে আনাদোলু জানিয়েছে, সেখানে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নতা এবং পর্যাপ্ত অক্সিজেনের অভাবে অন্তত ৭ জন রোগী প্রাণ হারিয়েছেন। গাজার প্রায় ৬০ শতাংশ ঘরবাড়ি প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।