টানা দ্বিতীয় দিন সূচক ঊর্ধ্বমুখী
দ্বিতীয় ধাপে ২৩ কোম্পানির শেয়ার দরের সর্বনিম্ন সীমা বা ‘ফ্লোর প্রাইস’ তুলে দেওয়ার পর সূচক বৃদ্ধির ধারা ধরে রেখেছে ঢাকার পুঁজিবাজার।
সপ্তাহের তৃতীয় দিন মঙ্গলবার আড়াই ঘণ্টার লেনদেনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসই এক্স আগের দিনের চেয়ে ২৩ পয়েন্ট বেড়েছে, তবে কমেছে অধিকাংশ শেয়ারের দাম।
সূচকের ঘরে আরে দিনের ৬ হাজার ২৭৮ পয়েন্ট দিয়ে সকাল ১০টায় লেনদেন শুরু হয়। শুরুতে সূচক কিছুটা পড়ে গেলেও দ্রুত সামলে উঠে ধারাবাহিকভাবে বাড়তে থাকে। বেলা সোয়া ১১টায় সূচক পৌঁছায় ৬ হাজার ২৯৯ পয়েন্টে।
পরের সোয়া এক ঘণ্টায় সূচক কিছুটা কমলেও সোয়া ১২টার পর আবার বাড়তে শুরু করে। সাড়ে ১২টায় ডিএসইএক্স ৬ হাজার ২৭৮ পয়েন্টে পৌঁছায়, যা আগের দিনের চেয়ে ২৩ পয়েন্ট বেশি।
ওই সময় পর্যন্ত হাতবদল হওয়া ৩৯১টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ১৪৭টির দাম বড়ে, ২০৬টির কমে এবং ৩৮টির দাম অপরিবর্তিত থাকে। সব মিলিয়ে লেনদেন হয় ৭৩৬ কোটি টাকা।
পুঁজিবাজারে এখন তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের সংখ্যা ৩৯২টি। এর মধ্যে ৩৫টি রেখে বাকি শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়ার ঘোষণা আসে বৃহস্পতিবার।
তাতে রোববার দিনের শুরুতে ব্যাপক দরপতন শুরু হলেও পরে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়েগাকারীরা সক্রিয় হলে বাজার ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে। দিন শেষে সূচক কমে ৯৬ পয়েন্ট।
ফ্লোর প্রাইস তোলার সুফল মেলে সোমবার। দিন শেষে সূচকে যোগ হয় ১৪ পয়েন্ট, ছয় মাস পর হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয় এ বাজারে।
দুই দিনের বাজার পর্যালোচনা করে দ্বিতীয় দফায় আরো ২৩ প্রতিষ্ঠানের উপর থেকে ফ্লোর তুলে দিলে সেগুলো মঙ্গলবার স্বাভাবিক লেনদেনে ফেরে। এখন কেবল ১২টি কোম্পানির শেয়ারের ক্ষেত্রে ফ্লোর প্রাইস বহাল রেখেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।