শিমুলে রাঙা দিনাজপুর-বীরগঞ্জ সড়ক

টিবিটি ডেস্ক
দিনাজপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১ মার্চ ২০২৪ ১২:০৫ এএম

শিমুলে রাঙা দিনাজপুর-বীরগঞ্জ সড়কের ২৮ কিলোমিটার এলাকা। সড়কের দুই পাশে রঙিন শিমুলে নান্দনিক হয়ে উঠেছে প্রকৃতি। এ এক মোহনীয় দৃশ্য।

সরেজমিনে দেখা যায়, পাখিরা উড়ে এসে বসছে লাল শিমুলের ডগায়। ঝড়ে পড়া শিমুলের লাল গালিচায় রূপ নিয়েছে পুরো সড়ক। যেন কেউ রঙিন চাদর বিছিয়ে দিয়েছে শিমুলতলায়।

স্থানীয়রা জানান, দিনাজপুর সরকারি কলেজ মোড় থেকে বীরগঞ্জ যেতে ২৮ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয়। এ পথে মহাসড়কের দুই পাশে রয়েছে ১০৬টি শিমুল গাছ। দুই-একটি গাছ ছাড়া সব গাছে ফুল ফুটেছে। বসন্তে ভালোবাসার কথা জানান দিতে প্রকৃতিকে রাঙিয়ে হেসে উঠেছে শিমুল। যা পথচারীদের দৃষ্টি কাড়ছে।

বৃদ্ধ ললিত চন্দ্র রায় বলেন, ৭০ বছর ধরে রাস্তার ধারে শিমুল ফুল ফুটতে দেখছি। কিন্তু দিনদিন গাছ কমে যাচ্ছে। রাস্তার ধারের অনেক পুরাতন গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। রাস্তা বড় হলে অনেক গাছ কাটা পড়বে।

ডা. ডিসি রায় নামের আরেকজন বলেন, বসন্তের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের প্রকৃতিতে শিমুল ফুলের লাল রঙের আভা ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। আমরা বাংলার বসন্তে এ রক্তে রাঙা শিমুল ফুল অনন্তকাল ধরে দেখতে চাই। 


আমার বাড়ির দুই পাশে দুটি শিমুল গাছে যখন ফুল ফোটে কখন হৃদয়কে বসন্ত দারুণ ভাবে নাড়া দেয়। মনের অজান্তেই বলে উঠি বসন্ত এসে গেছে। তবে নানা কারণে এ গাছ হারিয়ে যাচ্ছে।

শিমুল ফুল শুধু সৌন্দর্য বর্ধনই করে না। শিমুল গাছের রয়েছে নানা উপকারিতা। এর রয়েছে নানা ভেষজ গুণ। পেটের পীড়াসহ নানা রোগে এ গাছের ছাল ব্যবহার হয়। শিমুলের তুলার রয়েছে আলাদা কদর। 

শিমুলের বিচি ও তুলা দিয়ে তৈরি বালিশ শিশুদের মাথার আকার সৌন্দর্য বর্ধনে বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। মা, দাদি-নানিরা এখনো শিশুদেরকে শিমুলের তুলা ও বিচির তৈরি বালিশে মাথা দিয়ে শুয়ে রাখতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।