নতুন বছরে ক্রিকেটারদের ব্যস্ত সূচি
২০২৩ সালে ব্যস্ত সময় কাটিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট। বছরের শেষটাও করেছে রঙিন ভাবে। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে প্রথম জয়। সবমিলিয়ে দারুণ সময়ই বলা চলে। নতুন বছরে আরও অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। এই বছরও ব্যস্ত সূচির অপেক্ষায় নাজমুল হোসেন শান্ত-লিটন দাসরা।
বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের ব্যস্ততা শুরু হবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) এর মধ্য দিয়ে। আগামী ১৯ জানুয়ারি শুরু হবে প্রায় দেড় মাসের এই টুর্নামেন্ট। টুর্নামেন্ট শেষ হতেই বাংলাদেশ সফর করবে শ্রীলঙ্কা। মার্চে এসে তারা খেলবে দুটি টেস্ট ও তিনটি করে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি। এপ্রিলে জিম্বাবুয়ে বাংলাদেশ সফরে আসবে। এই সফরে দুটি টেস্ট ও পাঁচটি টি-টোয়েন্টি খেলবে তারা।
জুনে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ৪ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত কুড়ি ওভারের এই বিশ্বআসর চলবে। এই টুর্নামেন্ট শেষ করেই আফগানিস্তানের বিপক্ষে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। তবে কোথায় খেলাগুলো হবে সেটি এখনো নিশ্চিত হয়নি। এই সফরে দুটি টেস্ট এবং তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলার কথা। সিরিজটির সম্ভাব্য ভেন্যু সংযুক্ত আরব আমিরাত।
আগস্টে বাংলাদেশ সফর করবে পাকিস্তান। সীমিত ওভারের ক্রিকেট না খেললেও এই সফরে দুটি টেস্ট খেলবে দুই দল। সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে বাংলাদেশ আবার ভারত সফরে যাবে। কোনও ওয়ানডে না খেললেও সেখানে দুটি টেস্ট ও তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলবে দুই দল। অক্টোবরে বাংলাদেশ দক্ষিণ আফ্রিকায় দুটি টেস্ট খেলতে যাবে। নভেম্বরে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আতিথেয়তা দেবে বাংলাদেশ। ক্যারিবীয়রা এই সফরে দুটি টেস্ট এবং তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবে।
সবমিলিয়ে নতুন বছরে দেশের বাইরে চারটি সফর আছে লাল-সবুজ জার্সিধারীদের। তিনটি ঘরের মাঠে। পাশাপাশি একটি বড় ইভেন্টও আছে- টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। জাতীয় ক্রিকেট দলের ব্যস্ততা ছাড়াও নারী ক্রিকেট দল ও অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের বড় দুটি ইভেন্ট রয়েছে। চলতি মাসের ১৯ জানুয়ারি দক্ষিণ আফ্রিকায় শুরু হবে যুব বিশ্বকাপ। সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে আছে নারীদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ঢাকাসহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিশ্বকাপের ম্যাচগুলো আয়োজন করবে।
২০২৩ সালে অনেক অতৃপ্তি আছে। সেসব পেছনে ফেলে ২০২৪ সালে বাংলাদেশ ভালো করবে বলে আশা ক্রিকেটপ্রেমীদের।