কুকুরের সহায়তায় ধরা পড়ল কোকেন
দেশে প্রথমবারের মত কুকুরের সহায়তায় ধরা পড়েছে কোকেনের চালান। অলি নামের কুকরটি উত্তরার একটি আবাসিক হোটেলে এক বিদেশির কাছে মাদক শনাক্ত করে।
এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় যৌথভাবে 'এফোর্ড ইন' হোটেলে এ অভিযান পরিচালনা করে। তাতে ২০০ গ্রাম কোকেনসহ ধরা পড়ে মোহাম্মেদি আলি নামের তাঞ্জানিয়ার এক নাগরিক।
এয়ারপোর্ট এপিবিএনের ডগ স্কোয়াড এ অভিযানে অংশ নেয় জানিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক বলেন, “দেশের ইতিহাসে প্রথম কোনো প্রশিক্ষিত কুকুর কোকেন শনাক্ত করল। কুকুরটির নাম অলি।
“এটা অন্য কোনো বাহিনীতে হয়নি। অর্থাৎ, অন্য মাদক শনাক্ত করলেও কোকেন শনাক্ত করতে পারেনি অন্য কোনো ডগ স্কোয়াড।”
অভিযানের বর্ণনায় পুলিশ কর্মকর্তা জিয়াউল হক বলেন, হোটেলের দোতলায় ১০২ নম্বর রুমে উঠেছিলেন মোহাম্মেদি। আভিযানিক দল প্রথমেই তাকে আটক করে।
“মাদকের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি অস্বীকার করেন। এ সময় সাথে থাকা এপিবিএন ডগ স্কোয়াডের সহায়তায় মোহাম্মেদি আলির কক্ষে তল্লাশি চালানো হয়। তখন ডগ অলি বিদেশি মোহাম্মেদির সাথে থাকা কালো একটি ব্যাগে মাদক থাকার সংকেত দেয়।”
এরপর ব্যাগটি তল্লাশি করে বিশেষ কায়দায় লুকানো ২০০ গ্রাম কোকেন উদ্ধার করা হয়। ধরা পড়া মাদকের আনুমানিক মূল্য ২৫ লাখ টাকা।
এপিবিএন কর্মকর্তা জিয়াউল হক বলেন, আফ্রিকার দেশ তানজানিয়ার নাগরিক মোহাম্মেদি আলি গত ২০ জানুয়ারি ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবা থেকে কাতারের দোহা হয়ে ঢাকায় আসেন এবং হোটেল এফোর্ড ইনের ১০২ নম্বর রুমে ওঠেন।
“আজকের অভিযানে ডগ অলি এবং তার হ্যান্ডলার সুনেত্রার সহযোগিতায় মাদকের ব্যাগটি শনাক্ত করা হয়।”
গ্রেপ্তার মোহাম্মেদি আলির বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।
জিয়াউল হক জানান, ২০১৭ সালে এপিবিএনের ডগ স্কোয়াড হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দায়িত্ব পালন শুরু করে। শুরুতে ৮টি কুকুর দিয়ে যাত্রা হলেও বর্তমানে ২২টি কুকুর আছে এপিবিএনের।
এর আগে বুধবার রাতে বিমানবন্দরে প্রায় সাড় আট কেজি কোকেনসহ আফ্রিকার দেশ মালাউইর এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।