দূষিত বাতাসের তালিকায় শীর্ষস্থান ঢাকা
ঘনবসতিপূর্ণ শহর ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণে ভুগছে। সদ্য শেষ হওয়া ডিসেম্বের মাসে এবং চলমান জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে একাধিকবার বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে উঠে আসে শহরটি।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ২৬৯ নিয়ে তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে ঢাকা। এই একিউআই স্কোরের মানে হলো, রাজধানীর বাতাসের মান “খুব অস্বাস্থ্যকর” অবস্থায় রয়েছে। এ নিয়ে টানা দুই দিন এই তালিকার শীর্ষে রইল ঢাকা।
মঙ্গলবার সকালে পাকিস্তানের করাচি এবং ভারতের রাজধানী দিল্লি যথাক্রমে ২৩৮, ১৯৯ এবং ১৯৯ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ স্থানে রয়েছে।
১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে “অস্বাস্থ্যকর” বলে মনে করা হয়। এছাড়া, ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে “খুব অস্বাস্থ্যকর” এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে “ঝুঁকিপূর্ণ” হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
ঢাকার বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়। এ বছর একাধিকবার দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে উঠে আসে ঢাকা।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুসারে, বায়ুদূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।