‘দই বেচে বই’-খ্যাত জিয়াউল হকের পাশে দাঁড়াচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

টিবিটি ডেস্ক
টিবিটি ডেস্ক
প্রকাশিত: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৮:৪৮ এএম
দই বিক্রির টাকায় লাইব্রেরি ও স্কুল প্রতিষ্ঠা করা জিয়াউল হকের হাতে সমাজসেবা ক্যাটাগরিতে একুশে পদক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (ছবি: ফোকাস বাংলা)

দই বিক্রি করে জীবন ধারণের পাশাপাশি সেই টাকায় গড়ে তোলেন লাইব্রেরি ও একটি বিদ্যায়তন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সীমান্তঘেঁষা ভোলাহাট উপজেলার মুসরিভূজা গ্রামের বাসিন্দা সেই জিয়াউল হক (৯১) এবার একুশে পদকে ভূষিত হয়েছেন। সমাজসেবা ক্যাটাগরিতে তাকে পদক দেওয়া হয়। অবদানের জন্য প্রশংসা করে তার পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জিয়াউল হক প্রতিষ্ঠিত পাঠাগারের জন্য একটি ভবন নির্মাণ করে দেওয়ার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী। একইসঙ্গে তার প্রতিষ্ঠিত স্কুলটি সরকারি করার ব্যবস্থা করা যায় কিনা সে উদ্যোগও নেবেন বলে জানান তিনি।

মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে জাতীয় জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মাঝে ‘একুশে পদক-২০২৪’ প্রদানকালে দেওয়া প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সমাজের উন্নয়নের জন্য কাজ করি। এখানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশিষ্ট অবদান যারা রেখেছেন তাদের যতদূর সম্ভব আমরা সম্মাননা দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি। যারা ভাষা, সাহিত্য, শিল্প, কলাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রেখেছেন তাদের পুরস্কৃত করতে পেরে আমরা ধন্য হয়েছি এবং তাদের আমার আন্তরিক অভিনন্দন।

জিয়াউল হক দই বিক্রির টাকায় আরও অনেক সেবামূলক কাজ করছেন। স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বই দেওয়াসহ সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত অনুদান দেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিয়াউল হককে পুরস্কৃত করতে পেরে আনন্দিত এই জন্য যে আমরা সারা দেশে যদি খোঁজ করি এরকম বহু গুণিজন পাবো। হয়তো দারিদ্র্যের কারণে, না হয় কোনও সামাজিক কারণে তারা নিজেদের মেধা বিকাশের সুযোগ পাননি। কিন্তু সমাজকে কিছু তারা দিয়েছেন, মানুষকে দিয়েছেন, সেটাই সবচেয়ে বড় কথা। 

তারা মানুষের কল্যাণে নিবেদিত প্রাণ হয়ে কাজ করেছেন। হয়তো যে অর্থ তিনি উপার্জন করেছেন তা দিয়ে আরও ভালোভাবে বাঁচতে পারতেন, জীবন গড়ে তুলতে পারতেন। কিন্তু নিজের উন্নতি বা ভোগবিলাসের দিকে না তাকিয়ে তিনি জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিতে চেয়েছেন যারা লেখাপড়া করতে পারছে না তাদের জন্য।

যারা সমাজের উচ্চস্তরে আছেন তাদের এই ধরনের ত্যাগী মানুষগুলোকে খুঁজে বের করারও অনুরোধ করেন প্রধানমন্ত্রী। 

সূত্র: বাসস।